সামাজিকমাধ্যমে বিদেশ থেকে পোস্ট করা বিভিন্ন কন্টেন্ট প্রতিরোধে আছে জটিলতা। নির্ভর করতে হয় গুগল, মেটা বা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মের সিদ্ধান্তের ওপর।
অতীতে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কন্টেন্ট সরানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে অনুরোধ করা হলেও বৈশ্বিক এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুরোধ রক্ষার হার মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের আইন দ্বারা পরিচালিত। তবে বিটিআরসি, ডট ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের যথাযথ আইনি উদ্যোগের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটির কন্টেন্ট বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের কাছে অদৃশ্য করা সম্ভব।
অপরদিকে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিকমাধ্যমগুলোর কোনোটাই বাংলাদেশে নিবন্ধিত নয়। তাই সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা ঠেকানো দুরূহ বলে মনে করেন অনেকেই।
এক্ষেত্রে অনেক প্রযুক্তিবিদ বলছেন, বিভিন্ন গেটওয়ে ও ফিল্টারিং ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণভাবে হোস্টিং করা ওয়েবসাইট ও কন্টেন্ট অপসারণের পাশাপাশি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১০ মে) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির ইন্টারনেট দুনিয়ার সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষকে।
রোববার (১১ মে) সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তা ও তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।