• রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ ! লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, ব্যয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় ! ইউনূস-তারেকের বৈঠকে প্রাধান্য পায়নি বিচার ও সংস্কার…. হাসনাত আবদুল্লাহ আ.লীগের ভুল ছিল, আজকের অবস্থা ভুলেরই শাস্তি , দলের পরিনতি দেখে ‘মন খারাপ’… আব্দুল হামিদ সাতক্ষীরায় চাঁদা আদায়ের সময় সেনাবাহিনীর হাতে তিন সমন্বয়ক আটক ! উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ যানজটে পড়ায় লাইনম্যানকে মারধর ।। প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার দাবি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মাসুদ কামাল।। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যেখানে দেখাই করবেন না, আপনি গেলেন কেন ভারতের বিধ্বস্ত বিমানে কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিল তা জানা গেছে ! লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের সংলাপে ড. ইউনূস জুলাই সনদ ঘোষণা করে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দিল্লি থেকে ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশি দাবাড়ুকে, বিপাকে রাণী হামিদ !

শ্রমিকের মুখ নয়, ইটের আঘাতে থেঁতলে গেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা

বিজয় একাত্তর ডেক্স ★ / ৯১ Time View
Update : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

শ্রমিকের মুখ নয়, ইটের আঘাতে থেঁতলে গেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ের সেই রেস্ট হাউজের পেছনের নির্জন জমিতে পড়ে ছিল একটি মৃতদেহ। মানুষের মতো না—একটা ছিন্নভিন্ন, বিকৃত মুখ। পুলিশের ভাষায়, মুখমণ্ডলে ‘ইটের আঘাত’। মানবিক ভাষায় বললে, ওটা ছিল প্রতিহিংসার ছাপ, অবহেলার ছাপ, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিষ্ক্রিয়তার নীরব সাক্ষ্য।

নিহতের নাম আরাফাত হোসেন, বয়স ৪০। হোটেল শ্রমিক ছিলেন। ফরিদপুর থেকে সিরাজগঞ্জে এসেছিলেন জীবনের খোঁজে, ফিরে গেলেন নামহীন একটা খবর হয়ে। হঠাৎ প্রশ্ন জাগে—এই মৃত্যুটা কি আসলেই ‘হঠাৎ’? নাকি এটা ছিল এক দীর্ঘ অব্যবস্থাপনার স্বাভাবিক পরিণতি?

এই দেশে যখন রাস্তায় হাঁটা মানুষ পর্যন্ত অনিরাপদ, তখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কী করছেন? একের পর এক গুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি—আর তিনি ব্যস্ত মিডিয়া শোতে উঁচু গলায় আইনের শাসনের বুলি আওড়াতে। বাস্তবতা হলো, তার অধীনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন নরকে পরিণত হয়েছে। ‘জিরো টলারেন্স’ কথাটা এখন কেবল ব্যঙ্গ।

সড়কে রক্ত, মুখ থেঁতলানো শ্রমিকের লাশ, আতঙ্কে কাঁপা গরিবের ঘর—এটাই এখন বাস্তবতা। একে বলে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, প্রশাসনিক অবহেলা, আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখা মোহাম্মদ ইউনুসের চূড়ান্ত ব্যর্থ নেতৃত্ব।

একটা গরিব শ্রমিক, যার নাম কেউ মনে রাখবে না, তার মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ফুটে উঠেছে এই অ-সরকারের প্রকৃত রূপ। যারা দেশ চালাচ্ছেন, তাদের কাছে নাগরিকের জীবনের মূল্য নেই—থাকে না কখনোই। নইলে দিনে দুপুরে, জনবহুল জায়গায় এমন একটা লাশ পড়ে থাকে, আর সরকার দেখে না? জানতে চায় না? দায় নেয় না?

আরাফাতের রক্ত শুধু মাটিতে পড়েনি। সেটা পড়েছে রাষ্ট্রের বিবেকে, সরকারের মুখে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মসৃণ কোটের বুকপকেটে।

কিন্তু বিবেকহীনদের সামনে বিবেকের কথা বলার মানে হয় না।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!